ঢাকাSaturday , 15 February 2025
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. ফটো গ্যালারি
  11. বিনোদন
  12. ভিডিও গ্যালারি
  13. রাজধানী
  14. রাজনীতি
  15. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাউনিয়ায় প্রশাসন নিরব ভয়ঙ্কর রিং ও কারেন্ট জালের ফাঁদে জারিয়ে পাচ্ছে দেশীয় মাছ

admin
February 15, 2025 10:13 am
Link Copied!

মোকছেদ আলী  কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি:- কাউনিয়ায় নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না রিং জাল দিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার। চায়না রিং জাল ও কারেন্ট জালে নদ-নদী, খাল-বিল জুড়ে ব্যবহার হচ্ছে। এসব জালের কারনে দিনদিন মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে নদ-নদী, খাল-বিল ও ডোবা-নালা গুলো। ফলে বিলুপ্তি ও চরম হুমকিতে রয়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছসহ বিভিন্ন প্রকার জলজ প্রাণী। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর বর্তমানে বেশী চালু হয়েছে চায়না দুয়ারী রিং জালের ব্যবহার। ফলে প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত দেশীয় মাছ ধরা পড়ছে চায়না জালে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা বাজার বিক্রি করছে ভংঙ্কর এসব জাল, আর এক শ্রেণীর মানুষ চায়না জাল ও কারেন্ট জাল কিনে নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। প্রতিনিয়তই মাছ ধরার এমন দৃশ্য চোখে পড়লেও মৎস্য বিভাগের কর্তৃপক্ষের নজরে আসছে না।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন জলাশয় ঘুরে দেখাগেছে এক শ্রেণির মৎস্য শিকারি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে মাছ নিধনে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর এবার ভয়ঙ্কর চায়না জালের ফাঁদে দেশীয় প্রজাতির মাছ। জালে ধরা পড়ে শুধু মাছই নয়, জলাশয়ে থাকা কোনো জলজ প্রাণীও রক্ষা পাচ্ছে না। চলতি মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে মাছের প্রজননও কম হয়েছে। এরপর নিষিদ্ধ কারেন্ট ও রিং জালের ব্যবহারে দেশীয় প্রজাতির মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে উপজেলার মৎস্যজীবী পরিবার গুলো অসহায় হয়ে পড়েছে। উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে সহ অধিক মৎস্যজীবী পরিবার রয়েছে। তারা সারা বছর মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে এসে কিছুটা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা ও মানাস নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল কিন্তু বর্তমানে নদীতে পানি নেই বলেলেই চলে। রিং জালে মা মাছসহ বিভিন্ন মাছ ধরা পড়ায় মাছের প্রজনন বৃদ্ধি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এক দিকে যেমন দেখা দিয়েছে মাছের সংকট অন্যদিকে বিপাকে পড়েছে মৎস্যজীবী পরিবার গুলো। এভাবে কারেন্ট ও চায়না রিং জাল দিয়ে মাছ ধরলে কিছুদিন পর নদী ও জলাশয়ে আর কোনো মাছ পাওয়া যাবে না। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, সকল প্রকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না রিং জাল দিয়ে মাছ শিকার করা বেআইনি। মাছ শিকারে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার না করার জন্য প্রচার প্রচারণা চলমান রয়েছে। আমরা নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল হক বলেন, নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।