মোঃ রাসেল হুসাইন, নড়াইল
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে অব্যাহত রয়েছে ভাংচুর ও লুটপাট। আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২৫ টি বাড়ি। এ ছাড়া মাইকিং করে জোর পূর্বক কেটে নিচ্ছে একাধিক পরিবারের জমির ধান।
২৬ এপ্রিল (শনিবার) সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী কামরুল কাজীর স্ত্রী জোসনা বেগম ও স্থানীয়রা জানান, পিকুল শেখ ও রিকাইল শেখের নেতৃত্বে এলাকায় মাইকিং করে বলা হচ্ছে মিলন মোল্যার দলের কেউ ধান কাঁটতে মাঠে গেলে তাকে দেখে নেওয়া হবে এবং ওই রাতেই কে বা কারা আমাদের ধান কেটে নিয়ে গেছে। কয়েকদিন আগে গ্রামের ২৫ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে এবং ৫০ টি বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাট করায় আমরা অন্য গ্রামে মানবেতর জীবনযাপন করছি। কিন্তু গত কাল রাতে আমাদের বাড়ীর সব কটি ঘর আবারো ভাংচুর করে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে পিকুল শেখ ও রিকাইল শেখের লোকজন। এ ছাড়া পূর্বের ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ে কালিয়া থানায় এজাহার জমা দিলেও রেকর্ড করেনি থানা পুলিশ।
কামরুল কাজীর স্ত্রী জোসনা বেগমের মেয়ে শাহাবাগ ইউনাইটেড একাডেমী নবম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়া খানম জানান, তার সমস্ত বই পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।সে আরও বলে আমাদের ঘরবাড়ী কিছুই অবশিষ্ট নেই, পরের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছি। জমির ধানও আমরা আনতে পারছি না। আমরা এখন কি খেয়ে বাঁচবো?
পার্শবর্তী পাটকেল বাড়ী গ্রামের মকিদুল মোল্যা ভাংচুর দেখতে এসে দুঃখ প্রকাশ করেন।
কামরুল কাজীর ভাইয়ের বউ সুমা বেগম বলেন, পিকুল শেখ ও রিকাইল শেখের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন লোক আমার ভাসুরের বাড়ীঘর ভেঙ্গে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধান কাটার বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাননি। পূর্বের ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ে জোসনা বেগমের দায়েরকৃত এজাহার রেকর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, তিনি নতুন এসেছেন তবে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রফিকুল ইসলাম লাভলু। উপদেষ্টা : প্রবাসী সুমন চন্দ্র। নির্বাহী সম্পাদক মোঃ তাজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান মানছুর। ঢাকা অফিস : আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
যোগাযোগের ঠিকানা:-পীরগাছা, রংপুর। বার্তা কার্যালয়ঃ পাইকগাছা, খুলনা। মোবাইল: ০১৭১৭-৪৬৫০১০ ( সম্পাদক), ০১৭২৮-১০৩৫০৭ (নির্বাহী সম্পাদক