কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মামুন রানার বাড়িতে অনশনে বসেছে মোছাঃ শারমিন নাহার নামের এক তরুণী।
তরুণীর অভিযোগ,বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ সাত মাস ধরে শারীরিক সম্পর্কে পর বিয়ে না করায় তিনি অনশনে বসেছেন। কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি এলাকার ছত্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
শারমিন নাহার মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় প্রেমিক মামুন রানা ,পিতা সিরাজুল ইসলাম ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
শারমিন নাহার বলেন,’ মামুন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সাত মাস ধরে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো। গত পরশু মামুনের কর্মস্থল এলাকা বগুড়া আদমদিঘীতে আমাকে ডেকে নেয়। সেখানে এক বাসায় সময় কেটে কয়েল আনার কথা বলে সেখান হতে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয় লোকজন ও ছোট ভাইয়ের সহযোগিতায় বাড়িতে চলে আসি। সকাল থেকে আমি অনশন করছি। আমাকে বিয়ে না করলে গলায় দড়ি দেবো।’
স্থানীয় প্রতিবেশী মাহবুবুর রহমান বলেন,’সকাল থেকে দেখছি শারমিন অনশনে রয়েছে। ছেলের পরিবারের লোকজন পলাতক। ঘটনা জানা জানির পর মেয়ের বাবা মা তাকে বাড়িতে উঠতে না দিলে উপায় না পেয়ে সে মামুন রানার বাড়িতে অনশনে বসেছে । দুজনে একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামুন রানার মামাত ভাই আব্দুস সালাম বলেন,’সকাল থেকে শারমিন বিয়ের দাবিতে আমাদের বাড়িতে এসেছে। তার কাছে কিছু প্রমাণও দেখলাম। আমি মামার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুল্লাহ বলেন,’আমরা এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি । অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’