মানছুর রহমান জাহিদ, নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনার পাইকগাছা আলমতলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে কমিটি গঠন নিয়ে ছলচাতুরি, প্রতারণাসহ নানা অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খুলনা এ তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। তদন্ত শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চলে যাওয়ার সাথে সাথেই অভিযোগকারীদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সবুর গাইন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।
অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার আলমতলা ইসলামিয়া আজিজিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সবুর গাইন (ভারপ্রাপ্ত)। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনি বিভিন অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। সকাল ১০ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত ক্লাস চলার কথা থাকলেও বেলা ১ টা বাজার পর জোহরের নামাজের আজান হওয়ার সাথে সাথে মাদ্রাসা ছুটি হয়ে যায়। অন্যদিকে শিক্ষকরাও যার যার ব্যক্তিগত কাজে লেগে যান। যার মধ্যে নরহম বাবু তার মুদির দোকানে, জিনারুল তার ওষুধের দোকানে, আব্দুস সাত্তার ডাক্তারিতে, আবু হাসান কম্পিউটার ও ফটোস্ট্যাট মেশিনে ও অনেকেই নিজ নিজ ঘেরের কাজে নিয়োজিত হন।
এ দিকে বর্তমান এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। অধ্যক্ষ তার নিজস্ব কয়েকজনকে নিয়ে গত ২৭ মার্চ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকাতে পাঠিয়েছেন। বিষয়টি গোপন রেখে পহেলা এপ্রিল অধ্যক্ষ ঈদের ময়দানে মাইকে ঘোষনা করেন যারা কমিটিতে থাকতে আগ্রহী তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পত্র জমা দিতে বলেন। এর পর কয়েকদিন তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে আত্মগোপনে থাকেন। এক পর্যায়ে এলাকা বাসী জানতে পারেন এর কয়েকদিন আগে কমিটির তালিকা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যক্ষ পদ শুন্য রয়েছে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অনিয়মের মাধ্যমে কয়রা উপজেলার বে সিন মিম আলিম মাদ্রাসার দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেনকে নিয়োগ দানের প্রক্রিয়া শেষ করেন। বিষয়টি জানার পর কমিটির লোকেরা তার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে বে সিন মিম মাদ্রায় যান। সেখানে জানতে পারেন তিনি দুর্নীতি আষ্টেপৃষ্টে জড়িত।
এমতাবস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ না করায় কমিটির সদস্য আফি আজাদ বান্টি আদালতে মামলা করেন। এদিকে চাকুরিতে নিয়োগ পেতে মোশারফ হোসেন তিনিও একটি মামলা করেন যে কারণে এ পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধ রয়েছে।
এমনিভাবে নানা অভিযোগ এনে ৩০৩ জনের গণ স্বাক্ষরিত অভিযোগ করেন জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে।
অভিযোগ কারীদের পক্ষে মাওঃ আজিবর রহমান কাগজী বলেন, আমরা অভিযোগ করায় তদন্ত হওয়ায় অধ্যক্ষ সাহেব তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। তিনি এ ঘটনায় থানায় জিডি করবেন বলেও জানান।
অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সব কিছু হচ্ছে। এখানে কোন প্রকার অনিয়ম করা হয়নি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ শনিবার সরজমিনে এসে তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। এসময় তিনি সবকিছু শোনাবুঝার পর বলেন মাদ্রাসার কল্যাণার্থে যা যা করা প্রয়োজন সেটাই করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রফিকুল ইসলাম লাভলু। উপদেষ্টা : প্রবাসী সুমন চন্দ্র। নির্বাহী সম্পাদক মোঃ তাজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান মানছুর। ঢাকা অফিস : আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
যোগাযোগের ঠিকানা:-পীরগাছা, রংপুর। বার্তা কার্যালয়ঃ পাইকগাছা, খুলনা। মোবাইল: ০১৭১৭-৪৬৫০১০ ( সম্পাদক), ০১৭২৮-১০৩৫০৭ (নির্বাহী সম্পাদক