স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরের পীরগাছায় হিজবুত তাওহীদ ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় সংগঠনটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধন থেকে সংগঠনটিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিষিদ্ধের দাবিতে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
আর গত সোমবার সংঘর্ষের ঘটনায় হিজবুদ তাওহীরে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০ জনের নামে পীরগাছা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার দিন আটক ৭ ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার নাগদাহ ছিদাম এলাকায় হিযবুত তাওহীদের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি আবদুল কুদ্দুস শামীমের বাড়িতে একটি সভা আয়োজনকে কেন্দ্র করে হিযবুত তাওহীদের কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্ততঃ ৫০ জন আহত হন। এ সময় ৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর ও প্রায় ২০টি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় পরদিন মঙ্গলবার স্থানীয় মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে হিজবুত তাওহীদের ৩৯ জন কর্মী-সমর্থক ও ৩০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করে পীরগাছা থানায় একটি মামলা করেন।
গতকাল বুধবার দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ সিদাম থেকে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দেউতি বাজারে প্রায় ২০ মিনিটের মত পীরগাছা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় হিজবুত তাওহীদ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষুব্ধদের। এসময় তারা হিজবুত তাওহীদ সংগঠনটিকে নিষিদ্ধের দাবি করেন। এতে বক্তব্য দেন, মিজানুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ শামীম, মোক্তার হোসেনসহ অনেকে।
এদিকে এক ভিডিও বার্তায় হিজবুত তাওহীদ এর রংপুর বিভাগীয় সভাপতি আবদুল কুদ্দুস শামীম অভিযোগ করে বলেন, তিনি হিজবুত তাওহীদের বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় তার বাড়িতে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এঘটনার সাথে স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে জামায়াত নেতারা তার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, স্থানীয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে হিযবুত তাওহীদের সদস্যদের সাথে মতবিরোধ থাকায় সংঘর্ষ হয়েছে।
এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর বজলুর রশীদ বলেন, কারো ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে স্বার্থ হাসিল করা জামায়াতের আদর্শের পরিপন্থী। এ ঘটনার সঙ্গে জামায়াতের লোকজন জড়িত নয়। তারা প্রত্যক্ষভাবে প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক ৭ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রফিকুল ইসলাম লাভলু। উপদেষ্টা : প্রবাসী সুমন চন্দ্র। নির্বাহী সম্পাদক মোঃ তাজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান মানছুর। ঢাকা অফিস : আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
যোগাযোগের ঠিকানা:-পীরগাছা, রংপুর। বার্তা কার্যালয়ঃ পাইকগাছা, খুলনা। মোবাইল: ০১৭১৭-৪৬৫০১০ ( সম্পাদক), ০১৭২৮-১০৩৫০৭ (নির্বাহী সম্পাদক