প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ১০:৫২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ২:২৭ পি.এম
পীরগাছায় পুলিশকে ঘটনাস্থল দেখিয়ে মামলার আসামী হলেন বিএনপি নেতা: নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি

স্টাফ রিপোর্টার:
থানা পুলিশকে ঘটনাস্থল দেখিয়ে দিয়ে মামলার আসামী হয়েছেন পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম। ওই মামলায় বিএনপির আরো ১৩ নেতাকর্মীকে আসামী করা হলেও রেজাউল ইসলামকে আসামী করায় এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উপজেলা বিএনপি। চার মাস আাগে দখল করা একটি আবাদি জমিতে অস্থায়ী বসতি হিসেবে গড়ে তোলা একটি ছোট খড়ের ঘর পোড়ানো নিয়ে এ মামলা দায়ের করেন আওয়ামীলীগ কর্মী মোসলেম উদ্দিন। তবে পুলিশ বিষয়টি গুরুতর সহ দেখছেন বলে জানান।
জানা গেছে, উপজেলার পারুল ইউনিয়নের আনন্দি ধনিরাম গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের সাথে প্রতিবেশী আজিজুর খান, আলম খান গংদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। সম্প্রতি বিরোধপূর্ণ জমিতে মোসলেম উদ্দিন গং ছোট ছোট কয়েকটি খড়ের ঘর তুলে জমিটি নিজেদের দখলে নেন। গত ২৯ মার্চ রাতে ওই ঘরগুলোর মধ্যে একটি ছোট খড়ের ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ খবর দেয়া হলে পুলিশ বাড়ি চিনতে না পেরে স্থানীয় বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলাম ও স্কুল শিক্ষক আলমগীর প্রামানিককে বাড়ি দেখিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। পরে ওই দুই ব্যক্তি পুলিশের সাথে গিয়ে অগ্নিকান্ডে বাড়িটি দেখিয়ে দেন। এরপর গত ৩ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করা হয়। এর পরেই ঘটে বিপত্তি। ওই বাড়ি পোড়ানোর হুকুমের আসামী করা হয় বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলামকে।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই জমিটি কিছুদিন আগে মোসলেম উদ্দিন গং দখলে নিয়েছে। তারা ছোট ছোট কয়েকটি খড়ের ঘর তুলে রাখেন। পুড়ে যাওয়া ঘরটি ছিল খড়ের। এর উপরের চালা ও বেড়া খড় দিয়ে বানানো ছিল। ঘরটি পুড়ে যাওয়ার আগের ছবি ও ভিডিও এ প্রতিবেদক সংগ্রহ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান বলেন, ছ্ট্টো খড়ের ঘরে নাকি, এক লাখ ১০ হাজার টাকা ছিল। এটা হাস্যকর। এতো টাকা ঘরে রেখে খড় দিয়ে ঘর বানানোর উদ্দেশ্যে কি? এর মধ্যে অনেক প্রশ্ন আছে। সঠিক তদন্ত করলেই তা পাওয়া যাবে।
স্কুল শিক্ষক আলমগীর প্রামানিক বলেন, বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলামসহ আমি পুলিশকে বাড়ি দেখিয়ে দিয়েছি। এ জন্য যদি মামলার আসামী করা হয়, তাহলে তো মানুষ কারো বিপদে এগিয়ে আসবে না। ভাগ্যিস আমার নাম দেয়নি। তবে পুলিশের উচিত সঠিক তদন্ত করে দেখা।
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি তো পুলিশকে বাড়ি দেখিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও আমি বিএনপি করি বলেই আমাকে হয়রানি করতে আসামী করা হয়েছে। আমি সঠিক তদন্ত দাবি করছি।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি মোসলেম উদ্দিন বলেন, ঘর পোড়ানোর পর বিভিন্ন মাধ্যমে জানার পর তাকে আসামী করা হয়েছে। ছোট্ট একটি খড়ের ঘরে এক লাখ ১০ হাজার টাকা চুরি ও এক লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি বিষয়ে তিনি কোন উত্তর দেননি। এতো টাকা রেখে খড় দিয়ে চালা, ঘরের বেড়া দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ যুগে সব সম্ভব। পরে কথা হবে।
পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙা বলেন, ঘটনা জানার পরেই আমি খোঁজ-খবর নিয়েছি। ইউনিয়ন সভাপতি রেজাউল এই ঘটনায় জড়িত ছিল না। অন্য কোনো দলীয় নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে গোটা বিষয়টি পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করবে বলে আশা করি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ঘটনার দিন আমি বাড়ি না চেনায় দুজনকে সাথে নিয়েছিলাম। শুনেছি তাদের একজন বিএনপি নেতা । তাকেও আসামী করা হয়েছে। আমরা ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সব কিছু সঠিক ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। সিডি আর সংগ্রহ করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রফিকুল ইসলাম লাভলু। উপদেষ্টা : প্রবাসী সুমন চন্দ্র। নির্বাহী সম্পাদক মোঃ তাজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান মানছুর। ঢাকা অফিস : আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
যোগাযোগের ঠিকানা:-পীরগাছা, রংপুর। বার্তা কার্যালয়ঃ পাইকগাছা, খুলনা। মোবাইল: ০১৭১৭-৪৬৫০১০ ( সম্পাদক), ০১৭২৮-১০৩৫০৭ (নির্বাহী সম্পাদক
All rights reserved © 2025