তাজরুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক
রংপুরের পীরগাছায় একটি মসজিদের জমি নিয়ে দ্বন্দ চরম আকার ধারন করেছে। ইতোমধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে বেশ কয়েকটি হামলা ও মামলার ঘটনায় এলাকার পরিস্থিতি এখন বেশ উত্তপ্ত। দ্রুত এর সমাধান না হলে যে কোন মুহুর্তে সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তালুক কান্দি গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী মমতাজ বেগম তার মালিকানাধীন ১৮ শতক জমি প্রায় এক বছর আগে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য দান করেন। জমিটি তিনি প্রায় ২৫ বছর আগে নুরুজ্জামান খান গংদের কাছ থেকে ক্রয় করেন এবং দলিল ও খারিজ অনুযায়ী জমিটির মালিকানা তার নামে রয়েছে।
জমি দানের কিছুদিন পর স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আব্দুর রউফ খান গং উক্ত জমিকে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি বলে দাবি করলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। আব্দুর রউফ খানের পক্ষ থেকে জমির মালিকানা দাবি করে একটি দলিল উপস্থাপন করা হলেও, রংপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তা যাচাই করে জাল দলিল হিসেবে চিহ্নিত করে।
এদিকে, জমিদাতা বিদেশে থাকায় তার সম্মতিতে মসজিদ কমিটি স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে জমির মূল্য নির্ধারণ করে অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করে মসজিদের ছাদের নির্মাণ কাজ শুরু করে। এর পর থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আব্দুর রউফ খান গং মসজিদ কমিটি ও স্থানীয়দের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন, যা তারা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আব্দুর রউফ ও তার পরিবার গ্রামের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছেন। তারা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করছেন।
সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল উক্ত জমির দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে অন্তত তিনজন আহত হন। এ ঘটনায় পীরগাছা থানায় একই দিনে দুটি পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একাধিক বৈঠক হলেও বিরোধের সমাধান হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি, আব্দুর রউফ খান বারবার অহেতুক বিরোধ করে ও মামলার মাধ্যমে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করছেন। তারা এর সুষ্ঠু সমাধান চান।
এ বিষয়ে আব্দুর রউফ খান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের দাবি মিথ্যা নয়। আমাদের পৈতৃক জমি অন্য কেউ কিভাবে দান করেন? আমাদের জমি আমাদেরকে বুঝে দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, মামলাগুলোর তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। যেহেতু বিষয়টি মসজিদ কেন্দ্রিক, তাই সামাজিক ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করাই ভালো।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রফিকুল ইসলাম লাভলু। উপদেষ্টা : প্রবাসী সুমন চন্দ্র। নির্বাহী সম্পাদক মোঃ তাজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান মানছুর। ঢাকা অফিস : আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
যোগাযোগের ঠিকানা:-পীরগাছা, রংপুর। বার্তা কার্যালয়ঃ পাইকগাছা, খুলনা। মোবাইল: ০১৭১৭-৪৬৫০১০ ( সম্পাদক), ০১৭২৮-১০৩৫০৭ (নির্বাহী সম্পাদক