ফারুক হোসেন নয়ন, বদরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার নাগেরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসু্জ্জামান নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গোপনে বিদ্যালয়ের ৩ টি কাঠাল গাছ ও ১টি বিশাল বটগাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।গাছ কর্তনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক জামান বলেন স্কুলের বাউন্ডারী সীমানা প্রাচির নির্মাণ করা হবে। গাছ গুলো না কাটলে তো প্রাচির করতে পারবে না ঠিকাদার। সেজন্য গাছ কাটছি। শ্রেনী কক্ষের দরজা জানালা ভেংগে গেছে সে গুলো মেরামত করতে হবে।
গেলো মঙ্গলবার( ১৮ মার্চ ) সকাল পৌনে ১১টার দিকে সরেজমিনেওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের মাঠের পশ্চিম পাশে গ্রামিন কাাঁচা রাস্তা ঘেঁষে
কয়েকজন শ্রমিকেরা বট গাছটি কাটছে পাসেই চেয়ারে বসে আছেন প্রধান শিক্ষক জামান। তিনি আরো জানান আড়াই দশক পর স্কলটি এম পিও ভুক্ত হয়।
স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্ত জুড়ে দিয়ে বলেন ৩ দিন আগেও দুইটি পুরোনো কাঠাল গাছ কাটে নিয়ে গেছে প্রধান শিক্ষক। বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কাটা হচ্ছে বলে জানালে স্থানীয়রা সরে যায়। এসব গাছের প্রায় অর্ধ লাখ টাকা মূল্য হবে।কুতুবপুর এলাকাবাসীর একাধিক ব্যক্তি জানান, এই বিদ্যালয়টিতে কাগজে কলমে শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবতা সম্পুর্ণ ভিন্ন। পুরো বছর ধরে বন্ধ থাকে স্কুলটি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা ওই বিদ্যালয়ে শ্রেনী কক্ষে প্রাইভেট ও কোচিং করানো হয়। প্রধান শিক্ষক শামছুজ্জামান গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে গাছ বিক্রি করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহজাহান আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কাটার ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
বদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এইচ এম মাহবুবুল ইসলাম বলেন, নাগেরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে অবগত নয়। দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। টেন্ডার ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার নিয়ম নেই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।