দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভুগর্ভে কর্মরত শ্রমিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত সাব কন্টাক্ট বাতিল করে মূল কন্টাক্ট এর মাধ্যমে নিয়োগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন খনি শ্রমিকরা। সংবাদ সম্মেলনে ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই দাবি পূরণ না হলে কাঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়েছেন তারা।
রবিববার সকাল ১১টায় কয়লা খনির প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন ভুগর্ভস্থ খনি শ্রমিকরা। মিছিল শেষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের দাবি উত্থাপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শ্রমিক নেতা শহিবুল ইসলাম বলেন, বড়পুকুরিয়া খনির কারনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ২০গ্রামের বাসিন্দাদের প্রত্যেক পরিবার থেকে খনিতে চাকুরি দেয়ার কথা থাকলেও তাদের কিছু কিছু পরিবারে চাকুরি দেয়া হয়েছে। তবে তাদেরকে মূল ঠিকাদার সিএমসি,এক্সএমসি এর সাথে চুক্তিবদ্ধ না করে সাব কন্টাক্টর জেএসএমই এর সাথে চুক্তি বদ্ধ করা হয়। আগামী ৪/৫ মাস পর চিনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেএসএমই এর কাজের মেয়াদ শেষ হবে। এসময়ের মধ্যে ভুগর্ভস্থ শ্রমিকদের জীবন ঝুঁকির কোন দায়ভার নিবে না মর্মে গত ৬মে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেএসএমই শ্রমিকদের জানিয়েছে। এ ঘোষণার পর থেকে ঠিকাদারের আওতাভুক্ত খনির ১৭৪জন শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করছে। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা করছেন না।
সংবাদ সম্মেলন তিনি শ্রমিকদের দূরাবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা খনির অভিজ্ঞ শ্রমিক। ৫/৭বছর থেকে খনিতে কর্মরত আছি। আমাদের অন্য কোন সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সও নেই। এদিকে জমিজমা, ক্ষেত খামার সবই খনির কারনে ভূমি অবনমনে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষ বলেছিলো খনি যতদিন থাকবে আমাদের চাকুরিও ততোদিন থাকবে। তাহলে আজ কেন আমাদের চাকুরি থাকবেনা বলে জানাচ্ছে।
এসময় তারা জেএসএমই এর সাথে সাব কন্টাক্ট বাতিল করে মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি করেন। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে খনি কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ না নিলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে ঘোষণা করেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খান মোঃ জাফর সাদিক জানান, খনির ভূগর্ভে টানেল তৈরি জন্য মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি, সিএমসিকে চুক্তি দেয়া হয়। তাদের কাজের কিছু অংশ জেএসএমইকে সাব কন্টাক্ট দিয়েছে। এই কাজ শেষ হতে আনুমানিক আর ছয় মাস বাঁকি রয়েছে। কাজ শেষ হলে ওই ঠিকাদারের চাইনিজ কর্মীরা চলে যাবে। যেহেতু কাজ শেষ, তাহলে ওই ঠিকাদারের আওতায় থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকরা কিভাবে থাকবে। তারপরও আমরা তাদেরকে বাকি কাজ শেষ করতে বলেছি। যেহেতু তারা অভিজ্ঞ এবং আমাদেরই এলাকার তাই পরবর্তীতে নতুন কোন কাজের সুযোগ হলে অবশ্যই তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
তিনি বলেন, শ্রমিকরা দুর্ঘটনার শিকার হলে ক্ষতি পূরণ পাবেনা এটি সত্য নয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রফিকুল ইসলাম লাভলু। উপদেষ্টা : প্রবাসী সুমন চন্দ্র। নির্বাহী সম্পাদক মোঃ তাজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান মানছুর। ঢাকা অফিস : আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
যোগাযোগের ঠিকানা:-পীরগাছা, রংপুর। বার্তা কার্যালয়ঃ পাইকগাছা, খুলনা। মোবাইল: ০১৭১৭-৪৬৫০১০ ( সম্পাদক), ০১৭২৮-১০৩৫০৭ (নির্বাহী সম্পাদক