ফারুক হোসেন নয়ন, বদরগঞ্জ( রংপুর) :
রংপুর বদরগঞ্জ উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, গ্রাম বাংলার শোভা বর্ধন কারী শিমুল গাছ। মনোমুগ্ধকর শিমুল ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে গান, কবিতা ও নানা রকম গল্প। বর্তমান সময়ের অনেক শিশুই চিনে না শিমুল ফুল। নিকট অতীতে গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে ওঠা শিমুলের তুলা দিয়ে লেপ,তোশক, বালিশ ইত্যাদি তৈরি করত। যা ছিল খুবই আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যসম্মত। শিমুল গাছ কমে যাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যসম্মত তুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। অপরদিকে শিমুল তুলা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারতো কৃষক। এছাড়াও শিমুল গাছ গ্রাম অঞ্চলে ঔষধি গাছ হিসাবে সুপরিচিত। শিমুলের মূল বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু উপকারী এই গাছটি বিলুপ্তির পথে। শিমুল গাছের চারা রোপণে কৃষকের উদাসীনতার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকাকে বিলুপ্তির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫-১৮বছর আগে ও বদরগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে বাড়ির আনাচে কানাচে চোখে পড়তো অসংখ্য শিমুল গাছ।আর এসব গাছে ফুটন্ত শিমুল ফুলের সমারোহ জানান,দিতে প্রাকৃতিতে বসন্ত এসেছে। প্রস্ফুটিত ফুলে পুরো এলাকা এক অপরূপ রূপে সজ্জিত হয়ে উঠতো। কিন্তু দিন দিন শিমুল গাছ কমে যাওয়ায় দেশি তুলা খুজে পাওয়া যায় না। প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল গাছের প্রতি মানুষ ঝুঁকে পড়ায় শিমুল গাছসহ বিভিন্ন গাছ পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।